বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দিব না। যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই দেশবাসীকে ধোঁকা দিয়েছে। জুলুম করেছে, খুন করেছে, নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। এই লুণ্ঠন, জুলুম, অত্যাচারের অগ্রনায়ক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ জেল, জুলুম, নির্যাতন করে দেশকে গোরস্থান ও শ্মশানে পরিণত করছে। তারা এতদিন বলেছে, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পরিণত হয়েছে। তাহলে তারা দেশ থেকে পালিয়েছে কেন।
জামায়াতে ইসলামের আমির ডা: শফিকুর রহমান গতকাল সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা উত্তর ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলাম আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো: দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও পরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা জেলা শাখার সেক্রেটারি আফজাল হোসেন ও ঢাকা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক কামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, হত্যা, ব্যাংক লুট ও আয়নাঘরের রাজনীতি পরিচালনা করেছে। যে কারণে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাঁদাবাজি দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দেব না। এজন্য জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সর্বত্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা ছাত্র-জনতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশকে ভালো অবস্থায় দেখতে চাই । নিজেদের দেশকে ভালো রাখতে চাই। কেউ যেন আমাদের দিকে হাত না বাড়ায়। যারা দায়িত্বে আছেন, তারা বিপ্লবের ফসল। তারা জনগণের সরকার। দেশের সবার সরকার। তাদেরকে অনুরোধ করব অতীতে যারা হাত ময়লা করেছে। তাদের কথা না শুনে ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। ন্যায়সঙ্গত কাজ করবেন, কারো চোখ রাঙানিতে ভয় পাবেন না। যারা এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। জনগণের পাওনা জনগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে ২৪ বিপ্লব তথা ৩৬ এ জুলাই ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে গুলি করেছে । নিরস্ত্র আবু সাঈদ ও মুগ্ধকে গুলি হত্যা করেছে।
আশুলিয়ায় হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাদের ঘুম ভাঙে মসজিদের আজান শুনে তাই তারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
শিবিরের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যারা রাহবার ছিলেন, তারা হাসতে হাসতে হাসির মঞ্চে গিয়ে আল্লাহর দেখানো পথে শাহাদতবরণ করেছেন। আমাদের চাওয়া-পাওয়া যেন সন্তুষ্ট, ইনসাফ ও আল্লাহকে রাজি খুশির চাওয়া হয়।
জাতীয় কৃষিবিদ সম্মেলন : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, সাবেক কৃষি ও শিল্পমন্ত্রী শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ দেখিয়ে গিয়েছেন- কিভাবে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু তাদেরকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অচিরেই এসব হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী দায়িত্ব পেলে মালিক হবে না, সেবক হিসেবে কাজ করব।
গতকাল ঢাকাস্থ কৃষ্টিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে ফোরামের সভাপতি প্রফেসর এ টিএম মাহবুবই এলাহী তাওহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সন্তান ব্যারিষ্টার নাজিব মোমেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদ সফওয়ান আখতারের পিতা কৃষিবিদ ডা: মো: আক্তারুজ্জামান লিটন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো: মিজানুর রহমান। আরো বক্তৃতা করেন, ড. মোশাররফের হোসেন, কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদ, মহাসচিব, এগ্রিকালচারিস্টস ফোরাম, কৃষিবিদ গোলাম রাব্বানী, ড. মো: মোশাররফ হোসেন, ড. মাসুদল হক চৌধুরী প্রমুখ।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। দলীয় ক্যাডার নিয়োগ না দিয়ে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে। যেসব মেধাবী বিদেশে আছেন তাদের দেশে এনে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হলে ঈমানদাররা বসে থাকবে না। যাদের ঈমান আছে তারাই যোদ্ধা। এ দেশের সব যোদ্ধা সব ফ্রন্টেই যুদ্ধ করবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, মানুষের চারটি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জীবন, সম্পদ, ইজ্জত ও রিজিক। এগুলো নিশ্চিত করাই রাজনীতিবিদদের কাজ। এই সব অধিকার আমরা হরণ করতে দিবো না।
ঢাকা মহানগরী উত্তর : আমাদের শিশু, কিশোর, যুবক; আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার যুগপৎ বিপ্লব ও ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন যুগে পদার্পণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতকাল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বরে ক্যান্টনমেন্ট থানা জামায়াত আয়োজিত এক সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। থানা আমির আব্দুছ ছাকীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এনামুল কবিরের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ইয়াছিন আরাফাত ও গুলশান জোনের সহকারী পরিচালক হেদায়াতুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন গুলশান পূর্ব থানা আমির জিল্লুর রহমান, বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খান ও ভাষানটেক থানা আমির ডা: আহসান হাবীব প্রমুখ।
রামপুরায় কর্মী সম্মেলন : রামপুরা থানা উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর বনশ্রী বিসি এভিনিউ রোডে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমির ফজলে আহমেদ ফজলুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও জামায়াত নেতা হেদায়াতুল্লাহ।
তেজগাঁও দক্ষিণ : জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আগস্ট বিপ্লবীদের জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করে তাদের চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও খেলাঘর মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদির সভাপতিত্বে এবং নায়েবে আমির এস এম মনির আহমেদ ও সেক্রেটারি ফরিদ আহমেদ রুবেলের যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসেন, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার। বক্তৃতা করেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ডা: সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, আব্দুল হক, আলী আকবর হোসেন, শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম, তেজগাঁও কলেজ শিবির সভাপতি ইজাজ আহমেদ, তেজগাঁও থানা সভাপতি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করা হলে জাতির কপালে মহাদুর্যোগ আসতে পারে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ফ্যাসিস্টের পতন ও জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এত বেশি অপরাধ করেছে যে তার বিচার এত দ্রুততম সময়ে সম্ভব নয়। অবৈধ ক্ষমতার মসনদকে কুক্ষিগত রাখতে হাসিনা সরকার পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের এই সংস্কার শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাদের উচিত একটি অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ন্যূনতম সংস্কার শেষে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের একটা সময় ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নিবে না। আবু সাঈদ-মুগ্ধরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এই সরকারকে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ জাতির বৃহত্তর সার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা হয় তাহলে জাতির কপালে দুর্যোগ না মহাদুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
তিনি শুক্রবার সকালে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট জামিল আহমদ রাজুর সভাপতিত্বে, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের সিলেট মহানগর প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, সিলেট জেলা প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উপদেষ্টা হাফিজ আনোয়ার হোসাইন, ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সিলেট অঞ্চল পরিচালক মাওলানা ফারুক আহমদ, মহানগর উপদেষ্টা ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, জেলা উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা লোকমান আহমদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনে সাবেক কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মহানগর সভাপতি মো: শাহজাহান আলী, মহানগর উপদেষ্টা জাহেদুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, সিলেট জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ বাহার, সিলেট মহানগরের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল ও সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান দুলাল।
কাফরুলে জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, এ কথা পরখ করার জন্য যে, কে সবচেয়ে বেশি নেক আমল করে। তাই দুনিয়ায় শান্তি আখিরাতে মুক্তির জন্য সবাইকে নেক আমল ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
গতকাল রাজধানীর শেওরাপাড়াস্থ মনিপুর স্কুলে স্থানীয়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাফরুল পশ্চিম থানা আমির আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মাওলানা আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সুবিধা বঞ্চিত ১০০০জনকে কম্বল উপহার দেয়া হয়।
