ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব ধর্মীয় মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বিচার ও গুম হওয়া দু’ শিক্ষার্থীকে ফিরে পেতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ১১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নেতারা। এ সময় সংগঠনটির সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন শাখা সভাপতি এইচ এম আবু মুসা।
তাদের অন্যতম দাবিগুলো হলো শিগগিরই ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা, হলে আবাসন নিশ্চিত করা, সকল ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় উপাসনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন অর্গানোগ্রামে থাকা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব অনুষদসহ কৃষি অনুষদ চালু করা, সকল বিভাগে ছাত্রীদের জন্য কমন রুম ও নামাজের ব্যবস্থা করা, শ্রেণিকার্যক্রমে নামাজের জন্য বিরতি দেয়া, মাদকবিরোধী সেল তৈরি, শিক্ষকদেরকে মূল্যায়নের ব্যবস্থা ও বেস্ট টিচার অ্যাওয়ার্ড প্রদান, সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, গ্রন্থাগারের সুবিধা বৃদ্ধি ও জব অ্যাইড কর্নার চালু ও রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা।
এছাড়া আওয়ামী আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠন, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টাসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান নিশ্চিতকরণ, ইবি থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, ফ্যাসিবাদের আইকনদের নামে প্রতিষ্ঠিত সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও ১৬ বছরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের সকল ক্ষেত্রে সংস্কারের অংশ হিসেবে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস সংস্কারের লক্ষ্যে ১১০ দফা দাবি দিয়েছি। আমরা এ সকল দাবি বাস্তবায়নেও আমরা তৎপর থাকব। এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ দাবিগুলোকে যৌক্তিক উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি, ক্রমান্বয়ে সব বিষয় বাস্তবায়ন করব।’