ফেনীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এত পরিমাণ চাঁদাবাজি করতেছে, যা আমার ধারণা আওয়ামী লীগের আমলেও ফেনীতে এত পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়নি। এমনও অভিযোগ আছে, সকালে ৫০ হাজার চাওয়া হয়েছে, সকালে দিতে না পারায় তা বিকালে ১ লাখ হয়ে যায়, পরদিন দেড় লাখ। ফেনী শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে সিএনজি স্টান্ড, বাস স্টান্ডসহ এমন কোন যায়গা বাদ নেই যেখান থেকে চাঁদা নেওয়া হয় না। সরকারি কাজে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারির এক্সকাভেটরে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এ ফেনীতে। এলাকাবাসী প্রতিবাদে মানববন্ধন করলেও ভয়ে নাম বলতে রাজি হয়নি কেউঔ। মামলা বাণিজ্য তো আছেই।
মহিপালের হত্যা মামলার আসামি বের হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আবার অনেক আসামিকে সকালে সমন্বয়করা পুলিশলে দিয়েছে তো, বিকালে নেতারা গিয়ে ছাড়িয়ে আনছে৷ এ রকম অসংখ্য নজির। বালু মহাল নিয়ে তো নিজেদের মধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনেক নেতা এলাকা ভিত্তিক গড়ে তুলেছে নিজস্ব বাহিনী। জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত গুটিকয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। এমনও দেখেছি অনেককে, আগে সিএনজি চালাতো, চা দোকান করতো, কিন্তু এখন তা বাদ দিয়ে বাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে খবরদারি করে থাকে। আবার তাদের আশ্রয়ে এলাকায় অনেক আসামী এখন নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা তো শুধু ফেনীর চিত্র, বাহিরের জেলার চিত্র তো বাদে দিলাম।
আর এ জন্যই কি দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে?
- শহিদুল ইসলাম
মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, দৈনিক ফেনীর সময়