গৃহিণী সানজিদা হকের স্বামী মুখলেছুর রহমান মারা গিয়েছেন ১১ বছর আগে। ওনার স্বামী মারা যাওয়ার আগে ৬ বছর অসুস্থ ছিলেন। দুই মেয়ে নিয়ে তিন জন সদস্যদের পরিবার। বড় মেয়ে তুনানজিন হক, বয়স ২০ বছর। সে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়ন করছে, হাজী আসমত কলেজে। ছোট মেয়ে ফাতিহা হক, বয়স ১৩ বছর। সে সপ্তম শ্রেণিতে বাজিতপুর পাইলট স্কুলে অধ্যয়ন করছে।
সানজিদা হকের স্বামীর পৈতৃক সূত্রে আড়াই শতক জায়গা পেয়েছেন। সেখানে একটি ভাঙা ঘরে দুই মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করেন। বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে। তার স্বামীর দীর্ঘদিন অসুস্থতা থাকার কারণে টাকা পয়সা যা ছিল শেষ করার পরে ঋণগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এখন আয় রোজকারের কেউ নেই। বড় মেয়ে তুনানজিন হক টিউশনি থেকে সামান্য টাকা পান যা দিয়ে দুইমেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। বড় মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে, ঘর এবং টাকা না থাকায় বিয়ে দিতে পারছেন না। আয় রোজকারের মাধ্যম না থাকায় তারা খুব করুন অবস্থার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছে। এখন দ্রুত তাদের থাকার ঘরটি মেরামত করা প্রয়োজন এবং আয় রোজকারের জন্য দরকার কোন মাধ্যম।